আমার বাজার করার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে, কিন্তু ব্যাচেলার জীবনে এসে এখন মাঝেমধ্যেই করতে হয়। সেদিন ছিল সোমবার, এবং এই দিনেই আমাদের কাশিমপুরে সবজির হাট বসে। আমি এবং আমার রুমমেট সহ সন্ধ্যার পরে বাজার করতে বেরিয়ে গেলাম, (যদিও আমি ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলাম!) আর রুমমেটরা খুব দেখেশুনে বাজার করছিল। বাজারে অনেক বেশি মানুষ ছিল মনে হচ্ছিল শাকসবজি থেকে মানুষের সংখ্যাই বেশি হবে! তবে হ্যাঁ কাঁচা শাকসবজি এবং মাছ ও ছিল প্রচুর পরিমাণে। এবং দোকানের থেকে সবজির দাম তুলনামূলক অনেকটাই কম ছিল এখানে, এ কারণে বেশিরভাগ মানুষ জনি পুরো সপ্তাহের বাজার এই দিনে করে রাখে। এই হাটে কোলাহল বেশি থাকলেও ঘুরতে ভালো লাগে গ্রাম্য মেলার মতই জাঁকজমক অবস্থায় থাকে কারণ এই হাটে শুধু সবজি নয় জামাকাপড়, ছোটদের খেলনা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এর দোকানপাটও এখানে দেখা যায়।
নিচে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন, এটি বাজারের পাশেই একটি শুটকি মাছ বিক্রেতা এর দোকান। এবং ছবিটা তোলার সময় তার এই অনবদ্য হাসি আমার ছবিটিকে আরও বেশি সুন্দর করে তুলেছে। কারো যদি শুটকি মাছ পছন্দ নাও হয়ে থাকে তার এই হাসিটি পছন্দ হবেই! (এটি বলার কারন আমার বেশি শুটকি মাছ পছন্দ নয় 😶) এরপর আরো কিছু দোকানের ছবি আমি তুলেছি নিচে গেলে আপনি সেগুলো দেখতে পাবেন।
হাটে উঠেছিল কাঁচা পাকা দেশি জাতের আম উফফ কি যে দারুন ছিল সেগুলো, ছবিতে যতটা সুন্দর লাগছে বাস্তবে তার থেকেও মজার ছিল, আশা করছি সামনের সপ্তাহে আবারো পাবো।
সর্বশেষ মাছ বাজারে ঢুকলাম, মাছ বাজার সবজি বাজারের থেকে তুলনামূলক ছোট হলেও এখানে প্রচুর মাছ উঠেছিল। হাটের পাশেই রয়েছে পরাগ নদী যে কারণে এখানে অনেক নদীর মাছ উঠেছিল। তবে কাশিমপুরে প্রচুর পরিমাণে গার্মেন্টস কারখানা থাকার কারণে সেগুলোর বর্জ্য নদীতে মিশে নদীর পানি দূষিত করে এবং সে কারণে মাছের বৃদ্ধি ও কম। তা না হলে আরো অধিক মাত্রায় মাছের জন্ম হতো এবং অল্প দামে পুষ্টিকর মাছ আমরা পেতাম। খাটের বাইরে অনেক গাছ গাছালি রয়েছে যে কারণে পরিবেশগত দিক দিয়ে ভালো লাগে। মোটামুটি সব ধরনের বাজার করে বাসায় ফিরলাম!
বহুদিন পর ফটোগ্রাফি নিয়ে কোন পোস্ট করলাম, আশাকরি বাজারের ছবি গুলো আপনাদের ভাল লেগেছে। এবং ছবিগুলো তোলা হয়েছে Samsung galaxy m51 ফোন দিয়ে।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি!
Return from কাশিমপুরের হাট to Riy_shi's Web3 Blog